ফুলপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

ফুলপুর, ময়মনসিংহ

EIIN নাম্বার- ১০১২১৩, স্কুল কোড- ১০৫২

আমাদের সম্পর্কে

বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে গৌরবের সাথে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করতেছে। বিদ্যালয়টি ১৫০ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। ২ টি দু’’তলা পাকা ইমারত ও ২ টি একতলা ইমারতে ১৭টি কক্ষ আছে। ১১টি শ্রেনীকক্ষ, ১ টি অফিস কক্ষ, ১ গ্রন্থাগার, ১টি বিজ্ঞানাগার, ১ টি নামাজ কক্ষ ও ২ টি আবাসিক কক্ষ আছে। তাছাড়া ১টি পুকুর, ১টি খেলার মাঠ, ২টি নলকূপ ও ৩ টি ল্যাট্রিন রয়েছে, বিদ্যালয়ের সামনে একটি সুন্দর খেলার মাঠ রয়েছে।প্রতিদিন বিদ্যালয় ছুটির পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলা খেলে থাকে অত্র এলাকায় যখন জনসাধারনের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল সে মুহুর্তে জ্ঞানের আলো জনসাধারনের মাঝে বিস্তরনের জন্য এলাকার কতিপয় শিক্ষানুরাগী এবং অত্র এলাকার জনগনের শতস্ফুর্ত সহযোগীতার মাধ্যমে এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উত্তীর্ন করার পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে বহুমুখী শিক্ষা দেওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। ৬ষ্ঠ শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত শ্রেনী শাখা চালু আছে। নবম/দশম শ্রেনতে বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, রয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে Computer Lab আছে। ICT Computer শিক্ষা ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। প্রতি বছর J.S.C ও S.S.C পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল লাভ করে বৃত্তি পাইয়া থাকে।বর্তমান প্রধান শিক্ষক সাহেবের সুযোগ্য নেতৃত্বে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে আশানুরুপ ফল করে আসছে।বর্তমানে বিদ্যালয়টি ফুলপুর উপজেলার মধ্যে একটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

শিক্ষাই আলো। কেবলমাত্র শিক্ষাই অজ্ঞতার অন্ধকারকে দুর করে। সত্যিকার শিক্ষা শুধুমাত্র ডিগ্রি অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং তার চেয়েও বেশি কিছু। শিক্ষার উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিকে আলোকিত করা এবং ব্যক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ইহা শিশুর সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করে । একজন ব্যক্তি শিক্ষার সাহায্যে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে জয়ী হয়। শিক্ষা ভালোর দিকে মানবিক উন্নয়নের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।

উল্লেখ্য অত্র প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষায় সাফল্য দেখানোর মাধ্যমে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে । আমরা আশা করি যে, এই প্রতিষ্ঠানটি সমাজের অনগ্রসর শ্রেণীর শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর মহৎ ভুমিকা পালন করে যাবে। স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক বিজ্ঞান মনোভাবী অসাম্প্রদায়িক শিক্ষার্থী তৈরি করতে এ প্রতিষ্ঠানটি সামনে এগিয়ে যাবে – এ বিশ্বাস আমার আপনার আমাদের সকলের ।

সভাপতির বাণী

জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রথম সোপান হল শিক্ষা। শিক্ষার মাধ্যমেই তৈরি হয় সৎ, দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সুনাগরিক। শিক্ষা ছাড়া মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম,মানবতা ও নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে আধুনিক ও ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপে গড়ার ক্ষেত্রে যুগোপযোগী ও প্রযুক্তি নির্ভর মানসম্মত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

সর্বাধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এখানে চালু করা হয়েছে ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি। শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হচ্ছে অংশগ্রহণ পদ্ধতি। নিয়ত বিভিন্ন ধরণের আধুনিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জন এবং ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদের সবাই একযোগে কাজ করে একটি সর্বাধুনিক বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে বলে আমি গভীরভাবে আশাবাদী।

Scroll to Top